ধর্ম কী?
রাজেশ শেখ (মুশা বিশ্বাস)
ধর্ম ধারণ করে- ন্যায়, সত্য, ত্যাগ,-তিতিক্ষা, ক্ষমা, প্রেম ,প্রীতি, ভালোবাসা, দয়া, মায়া ,স্নেহ ,সহযোগিতা, ইত্যাদি নোংরামি ,ভন্ডামি, অত্যাচার ,অনাচার, ব্যভিচার ,ও সত্য, মিথ্যা ,ফেরকাবাজি, কাড়াকাড়ি, মারামারি, হিংসা, বা ফাঁকিবাজি থেকে দূরে থাকতে বলে, এক কথায় বলা যায় ধর্ম হল মানুষের জীবন ব্যবস্থার নাম আর ধর্মের রীতি রেওয়াজ বা আইনি মূলত মানুষকে উপরিক্ত পথ গুলোর সঠিক দিশা দিয়ে থাকে ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী।
ধর্মের আরেকটি দিক হল ধর্মের প্রতি অন্তরের বিশ্বাস বর্তমানে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত কম্পিউটার সাইন্স যুগের ছেলেমেয়েরা স্বাভাবিক নাস্তিক মনোভাবপন্ন প্রশ্ন তোলে এ বিশ্বের কোন প্রভু আছে কি নেই। না দেখে তাকে বিশ্বাস করব কিভাবে?
তাই আলোচনা প্রসঙ্গে সামান্য দর্শন ও বিজ্ঞান কে সাহায্য নিয়ে কিছুটা আলোচনা করা যাক।
যে বস্তুগুলি সাধারণভাবে দেখা যায় না যেমন ব্যথা-বেদনা সুখ-দুঃখ কি দেখা যায়? হাওয়া বাতাস কি দেখা যায়? এ পৃথিবীতে এমন অনেক জিনিস আছে যা দেখা যায় না কিন্তু আমাদের বিশ্বাস করতে হবে ।আমাদের পারিপার্শ্বিক জীবনে অনেক কিছুই বিশ্বাস এর উপর নির্ভর করতে হয়। আর সবচাইতে বড় উদাহরণ হলো ' প্রাণ বা আত্মা যার জন্যই মানুষ এবং যাবতীয় জীব বেঁচে আছে অথচ ওই প্রাণ আত্মা কি জিনিস তা আজ পর্যন্ত কেউ স্বচক্ষে দেখতে পায়নি। কিন্তু সকলের বিশ্বাস আছে যে প্রাণ আত্মা যার জন্য সমস্ত প্রাণী বেঁচে থাকে বা মারা যায় সেটা কারো না কারোর নির্দেশ হয়ে থাকে। আর তাকে বিশ্বের কোন অদৃশ্য শক্তি নিয়ন্ত্রণ করেন। আর সেই হলো সমগ্র পৃথিবীর সৃষ্টি কর্তা এবং তাকেও চোখে না দেখে বিশ্বাস করতে হবে ।
যেমন আল্লাহ বলেন
আর তারা তোমাকে রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, ‘রূহ আমার রবের আদেশ থেকে, আর তোমাদেরকে জ্ঞান থেকে অতি সামান্যই দেয়া হয়েছে’।
(সূরা বানী ইসরাইল ১৭:৮৫)
আর এই পৃথিবীতে জীবন যাপন করতে গেলে ওই সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী ধর্মের বিধি নিষেধ গুলো মেনে চলতে হবে।
এমনই এক ধর্ম হলো ইসলাম যার পবিত্র গ্রন্থ হল আল-কুরআন। তার দ্বিতীয় সূরার প্রথমে বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা ঘোষণা করেছেন
এই সেই কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য হিদায়াত।
(সূরা বক্বারা ২:২)
আল কোরআনে সেই গ্রন্থ যাতে কোন সন্দেহ নেই এটা সেই সব আল্লাহ ভীরুদের জন্য পথপ্রদর্শক অদৃশ্য বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে।
(সূরা বক্বারা ২:৩)
আর যারা ধর্ম মানে না অর্থাৎ যারা নাস্তিক তাদেরকে সম্বোধন করে আবার পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন ,
তারা কি স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি হয়েছে, না তারাই স্রষ্টা?
(সূরা তুর ৫২:৩৬ )
তারা কি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছে? বরং তারা দৃঢ় বিশ্বাস করে না।
তাই যিনি আকাশমণ্ডল ও জমিন সহ গোটা পৃথিবীর এবং সমস্ত প্রাণীর প্রাণ! তার সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করতেই হবে।
ধর্ম কথার অর্থ কী?
ধর্ম কথার অর্থ হল ধারণ করা ।ধর্ম শব্দটি এসেছে 'ধৃ ' ধাতু থেকে এখন দেখতে হবে যে ধর্ম কি ধারণ করে।ধর্ম ধারণ করে- ন্যায়, সত্য, ত্যাগ,-তিতিক্ষা, ক্ষমা, প্রেম ,প্রীতি, ভালোবাসা, দয়া, মায়া ,স্নেহ ,সহযোগিতা, ইত্যাদি নোংরামি ,ভন্ডামি, অত্যাচার ,অনাচার, ব্যভিচার ,ও সত্য, মিথ্যা ,ফেরকাবাজি, কাড়াকাড়ি, মারামারি, হিংসা, বা ফাঁকিবাজি থেকে দূরে থাকতে বলে, এক কথায় বলা যায় ধর্ম হল মানুষের জীবন ব্যবস্থার নাম আর ধর্মের রীতি রেওয়াজ বা আইনি মূলত মানুষকে উপরিক্ত পথ গুলোর সঠিক দিশা দিয়ে থাকে ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী।
ধর্মের আরেকটি দিক হল ধর্মের প্রতি অন্তরের বিশ্বাস বর্তমানে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত কম্পিউটার সাইন্স যুগের ছেলেমেয়েরা স্বাভাবিক নাস্তিক মনোভাবপন্ন প্রশ্ন তোলে এ বিশ্বের কোন প্রভু আছে কি নেই। না দেখে তাকে বিশ্বাস করব কিভাবে?
তাই আলোচনা প্রসঙ্গে সামান্য দর্শন ও বিজ্ঞান কে সাহায্য নিয়ে কিছুটা আলোচনা করা যাক।
যে বস্তুগুলি সাধারণভাবে দেখা যায় না যেমন ব্যথা-বেদনা সুখ-দুঃখ কি দেখা যায়? হাওয়া বাতাস কি দেখা যায়? এ পৃথিবীতে এমন অনেক জিনিস আছে যা দেখা যায় না কিন্তু আমাদের বিশ্বাস করতে হবে ।আমাদের পারিপার্শ্বিক জীবনে অনেক কিছুই বিশ্বাস এর উপর নির্ভর করতে হয়। আর সবচাইতে বড় উদাহরণ হলো ' প্রাণ বা আত্মা যার জন্যই মানুষ এবং যাবতীয় জীব বেঁচে আছে অথচ ওই প্রাণ আত্মা কি জিনিস তা আজ পর্যন্ত কেউ স্বচক্ষে দেখতে পায়নি। কিন্তু সকলের বিশ্বাস আছে যে প্রাণ আত্মা যার জন্য সমস্ত প্রাণী বেঁচে থাকে বা মারা যায় সেটা কারো না কারোর নির্দেশ হয়ে থাকে। আর তাকে বিশ্বের কোন অদৃশ্য শক্তি নিয়ন্ত্রণ করেন। আর সেই হলো সমগ্র পৃথিবীর সৃষ্টি কর্তা এবং তাকেও চোখে না দেখে বিশ্বাস করতে হবে ।
যেমন আল্লাহ বলেন
وَيَسْـَٔلُونَكَ عَنِ الرُّوحِ ۖ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّى وَمَآ أُوتِيتُم مِّنَ الْعِلْمِ إِلَّا قَلِيلًا
আর তারা তোমাকে রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, ‘রূহ আমার রবের আদেশ থেকে, আর তোমাদেরকে জ্ঞান থেকে অতি সামান্যই দেয়া হয়েছে’।
(সূরা বানী ইসরাইল ১৭:৮৫)
আর এই পৃথিবীতে জীবন যাপন করতে গেলে ওই সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী ধর্মের বিধি নিষেধ গুলো মেনে চলতে হবে।
এমনই এক ধর্ম হলো ইসলাম যার পবিত্র গ্রন্থ হল আল-কুরআন। তার দ্বিতীয় সূরার প্রথমে বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা ঘোষণা করেছেন
ذٰلِكَ الْكِتٰبُ لَا رَيْبَ ۛ فِيهِ ۛ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ
(সূরা বক্বারা ২:২)
الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلٰوةَ وَمِمَّا رَزَقْنٰهُمْ يُنفِقُونَ
(সূরা বক্বারা ২:৩)
আর যারা ধর্ম মানে না অর্থাৎ যারা নাস্তিক তাদেরকে সম্বোধন করে আবার পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন ,
أَمْ خُلِقُوا مِنْ غَيْرِ شَىْءٍ أَمْ هُمُ الْخٰلِقُونَ
(সূরা তুর ৫২:৩৬ )
أَمْ خَلَقُوا السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضَ ۚ بَل لَّا يُوقِنُونَ
তাই যিনি আকাশমণ্ডল ও জমিন সহ গোটা পৃথিবীর এবং সমস্ত প্রাণীর প্রাণ! তার সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করতেই হবে।
