Header Ads Widget

উমার রাঃ এর বেশি মোহর নির্ধারণে নিষেধাজ্ঞা ও এক মহিলার প্রতিবাদ

Marriage

তাহক্বীক্ব:- মুসলেহুদ্দীন মাযহারী।
ঘটনাটি হলো:-
عن الشعبي قال خطب عمر بن الخطاب رضي الله عنه الناس فحمد الله وأثنى عليه وقال " ألا لا تغالوا في صداق النساء ،فانه لا يبلغني عن أحد ساق أكثر من شئ ساقه رسول الله صلى الله عليه وسلم أو سيق إليه إلا جعلت فضل ذلك في بيت المال " ثم نزل ,فعرضت له امرأة من قريب ،فقالت : يا أمير المؤمنين اكتاب الله تعالى أحق أن يتبع أو قولك ؟ قال : "بل كتاب الله فما ذاك؟ " قالت نهيت الناس آنفا أن يغالوا في صداق النساء والله تعالى يقول في كتابه: ﴿و أتيتم احداهن قنطارا فلا تأخذوا منه شيئا﴾ (النساء ٢٠) فقال عمر رضي الله عنه " كل أحد أفقه من عمر" مرتين أو ثلاثا،ثم رجع إلى المنبر فقال للناس " إني كنت نهيتكم أن تغالوا في صداق النساء ألا فليفعل رجل في ماله ما بدا له( السنن الكبرى للبيهقي ٧/٣٨٠ رقم الحديث ١٤٣٣٦).

ভাবার্থ:-

হযরত ওমর রা. তাঁর খিলাফতের যুগে একবার ভাষণ দিলেন যে, কেউ যেন বিয়ে-শাদিতে বড় অংকের মোহর নির্ধারণ না করে। তখন এক মহিলা আপত্তি করে বললেন, কুরআন মজীদের এক জায়গায় তো এক কিনতার (সোনা-রূপার স্ত্তপ) মোহর দেওয়ার কথাও আছে, যা প্রমাণ করে যে, সোনা-রূপার স্ত্তপও মোহর হতে পারে। তাহলে বড় অংকের মোহর নির্ধারণে বাধা দিচ্ছেন কেন? হযরত ওমর রা. তাঁর কথা শুনে বললেন,বাস্তবেই তাঁর দলীল সঠিক। অধিক পরিমাণ মোহর নির্ধারণ করা থেকে সম্পূর্ণরূপে নিষেধ করা ঠিক নয়( সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী হাদীস নং ১৪৩৩৬ সুনান সাঈদ বিন মানসুর ১/১৯৫ হাদীস নং ৫৯৮)।

এই ঘটনা সহীহ নয়।

কারণ:-
এই আসারটি ইমাম বায়হাক্বী মুনক্বাতি বা বিচ্ছিন্ন বলেছেন ( আস সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৭/৩৮০)।
১) শা'বী উমার রাঃ থেকে মুরসাল বর্ণনা করেছেন ( আল মারাসীল লিইবনি আবী হাতিম ৪/৩০০)।
এই শা'বী যিনি উমার রাঃ থেকে বর্ণনা করেছেন তাঁর জন্ম ২০ হিজরী মৃত ১০৯ হিজরী ( তাক্বরীবুত তাহযীব ৫/৬০)।
উমার রাঃ শহীদ হন ২৩ হিজরীতে ( তাক্বরীবুত তাহযীব ২/৫৪ জীবনী নং ৫৪৮৯)।
অর্থাৎ শা'বীর জন্মের তিন বছর পরই উমার রাঃ মৃত্যু বরণ করেন।
এত ছোট বাচ্চার তাঁর থেকে শোনা বা হাদীস বর্ণনা করা আদৌ সম্ভব নয়।
এই জন্যই এই হাদীস মুনক্বাতি বা বিচ্ছিন্ন।

২) মুজালিদ বিন সাঈদ যঈফ রাবী।
ইবনু আবী খায়সুমাহ ইবনু মাঈন রহঃ থেকে বলেন,সে যঈফ,ওয়াহিয়াল হাদীস।
ইমাম আদ দাওরী ইবনু মাঈন রহঃ থেকে বলেন,তার হাদীস দলীলযোগ্য নয়।
ইমাম আবী ত্বালিব ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল রহঃ থেকে বলেন,সে কিছুই নয়।
ইবনু আবী হাতিম রহঃ বলেন,আমার পিতাকে মুজালিদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে,সে কি দলীলযোগ্য? তিনি বলেন, না ( তাহযীবুত তাহযীব ১০/৩৬)।
এই রাবীকে যে সমস্ত গ্রন্থে যঈফ বলা হয়েছে।
( আল জারহু অত তা'দীল ৮/১৬১ আয যুআফা অল মাতরূকূন লিন নাসাঈ রাবী নং ২ আয যুআফাউস সাগীর লিইমাম বুখারী রাবী নং ৩৬৮ আল মাজরুহীন লিইবনি হিব্বান ৩/১০)।

এই হাদীসটিকে নাসীরুদ্দীন আলবানী রহঃ যঈফ বলেছেন ( ইরওয়াউল গালীল ৬/৩৪৮ হাদীস নং ১৯২৭ এর তাহক্বীক্ব)।

এই ঘটনার আরও একটি সানাদ রয়েছে।
আবূ আব্দুর রহমান আস সুলামী বলেন,উমার রাঃ বলেছেন ( শব্দাবলি একই)
এটা আছে ( মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক ৬/১৪৫ হাদীস নং ১০৪৬১)।
এই সানাদটিও দুটি কারণে যঈফ।
১) আব্দুর রহমান আস সুলামী তাঁর নাম আব্দুল্লাহ বিন হাবীব বিন রাবীয়াহ উমার রাঃ থেকে শোনেননি।
( আল মারাসীল লিইবনি আবী হাতিম রাবী নং ৩৮৫)।

২) ক্বায়স ইবনুর রাবী' মুনকার ,যঈফ ও পরিত্যক্ত রাবী।
( আল জারহু অত তা'দীল লিআবী দাউদ রাবী নং ৫৪ মীযানুল ই'তিদাল ৩/৩৯৩ রাবী নং ৬৯১১ তাহযীবুত তাহযীব ৮/৩৫১ আয যুআফা অল মাতরূকূন লিন নাসাঈ রাবী নং ৪৯৯)।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ