ইলম বা জ্ঞান

                         
Knowledge


লেখক:রাজেশ শেখ (মুশা বিশ্বাস)

'ইলম' বা জ্ঞান হল সৃষ্টিকর্তার এক বিশেষ নিদর্শন যা সৃষ্টিকর্তা উদ্ভিদ ও প্রাণীর কে বিশেষ করে মানুষকে বিশেষ মর্যাদা প্রদান করেছে। জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষ ইলম কে কাজে লাগিয়ে উন্নতি সাধন করতে পারে। যাকে ইচ্ছা শক্তি প্রদান করা হয়েছে, ভালো মন্দ করার জন্য, যে ব্যাক্তি সঠিক ইলম বা জ্ঞান অনুসন্ধান করবে সে সৃষ্টিকর্তার সেরা পাত্র হিসাবে বিবেচিত হবে।
তাই প্রত্যেক মানুষকে ইলম অনুসন্ধান করতে হবে। যে কোন কাজ করতে গেলে তাকে আগে জানতে হবে তারপর করতে হবে। তাহলে সে বুদ্ধিমান এবং সেরার সেরা হতে পারে ।অন্যান্য মানুষ হতে তাকে পৃথক করে।

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা মানব সৃষ্টির সূচনাতেই ইলম বা জ্ঞান দান করেছেন এ প্রসঙ্গে আল্লাহ কুরআনে বলেন -

সূরা বাকারা ২:৩১-৩৩নাম্বার আয়াত

وَعَلَّمَ ءَادَمَ الْأَسْمَآءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلٰٓئِكَةِ فَقَالَ أَنۢبِـُٔونِى بِأَسْمَآءِ هٰٓؤُلَآءِ إِن كُنتُمْ صٰدِقِينَ

আর তিনি আদমকে নামসমূহ সব শিক্ষা দিলেন তারপর তা ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। সুতরাং বললেন, ‘তোমরা আমাকে এগুলোর নাম জানাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’।


قَالُوا سُبْحٰنَكَ لَا عِلْمَ لَنَآ إِلَّا مَا عَلَّمْتَنَآ ۖ إِنَّكَ أَنتَ الْعَلِيمُ الْحَكِيمُ

তারা বলল, ‘আপনি পবিত্র মহান। আপনি আমাদেরকে যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয় আপনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়’।


قَالَ يٰٓـَٔادَمُ أَنۢبِئْهُم بِأَسْمَآئِهِمْ ۖ فَلَمَّآ أَنۢبَأَهُم بِأَسْمَآئِهِمْ قَالَ أَلَمْ أَقُل لَّكُمْ إِنِّىٓ أَعْلَمُ غَيْبَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ وَأَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا كُنتُمْ تَكْتُمُونَ

তিনি বললেন, ‘হে আদম, এগুলোর নাম তাদেরকে জানাও’। অতঃপর যখন সে এগুলোর নাম তাদেরকে জানাল, তিনি বললেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলিনি, নিশ্চয় আমি আসমানসমূহ ও যমীনের গায়েব জানি এবং জানি যা তোমরা প্রকাশ কর এবং যা তোমরা গোপন করতে’?

আল্লাহ্ আরও বলেন: (সুরা রহমান ৫৫:১-৪)

الرَّحْمٰنُ
পরম করুণাময়।

عَلَّمَ الْقُرْءَانَ
তিনি শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন।


خَلَقَ الْإِنسٰنَ
তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষ।

عَلَّمَهُ الْبَيَانَ
তিনি তাকে শিখিয়েছেন ভাষা।

ইলম অর্জনের জন্য আমাদেরকে অধ্যায়ন করতে হবে এবং এ কারণে আল্লাহ কুরআনের প্রথম শব্দ অহী হিসাবে রাসূল (সাঃ) উপর নাযিল করে বললেন‌ 'ইক্বরা' অর্থাৎ পড়ো।

আল্লাহ বলেন ,
সূরা ৯৬ নম্বর সূরা ১ থেকে ৫ নম্বর আয়াত

اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِى خَلَقَ

পড় তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।

خَلَقَ الْإِنسٰنَ مِنْ عَلَقٍ

তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে 'আলাক' থেকে।

اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ

পড়, আর তোমার রব মহামহিম ।

الَّذِى عَلَّمَ بِالْقَلَمِ

যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন।

عَلَّمَ الْإِنسٰنَ مَا لَمْ يَعْلَمْ

তিনি মানুষকে তা শিক্ষা দিয়েছেন, যা সে জানত না।

আল্লাহ্ আমাদের কে ' কলম ' দ্বারা শিক্ষা ও ভাষা শিক্ষা প্রদান করেছেন।তাই মানুষ নিত্য নতুন জিনিস তৈরী করতে সক্ষম।

কবরে ও কিয়ামতের ময়দানে ইলম বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হবে।

কবরে গেলেও ইলম নিয়ে প্রশ্ন করা হবে
মান রব্বুকা ,মা দ্বীনুকা ,মান নবিউকা
এসব কোথা থেকে জানলে
আমি কোরআন পড়েছিলাম সত্যায়ন করেছিলাম।
(আবু দাউদ ৪৭৫৩, সাহসী ফুল জামে ১৬৭৬, মাকতুবাতুস সামেলাহ)

অন্য দিকে কিয়ামতের মাঠে ইলম বিষয় নিয়ে প্রশ্ন হবে -

'ইবনু মাসউদ '(রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।
( তিরমিজি ২৪৬১)।


জ্ঞান হলো কল্যাণ লাভের উপায়

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেন, ২:২৬৯

يُؤْتِى الْحِكْمَةَ مَن يَشَآءُ ۚ وَمَن يُؤْتَ الْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِىَ خَيْرًا كَثِيرًا ۗ وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّآ أُولُوا الْأَلْبٰبِ

তিনি যাকে চান প্রজ্ঞা দান করেন। আর যাকে প্রজ্ঞা দেয়া হয়, তাকে অনেক কল্যাণ দেয়া হয়। আর বিবেক সম্পন্নগণই উপদেশ গ্রহণ করে।

'ইলম' হচ্ছে আরবি শব্দ যার বাংলা অর্থ হচ্ছে জ্ঞান। উপরোক্ত আয়াতে মহান আল্লাহ ইলম অর্জন কারী বা জ্ঞানী ব্যক্তিদের এক বিশেষ মর্যাদার কথা উল্লেখ করেছেন ।পবিত্র কোরআনে আরো বহু জায়গাতে ইলম বা জ্ঞান এর মর্যাদার বিষয় বিষয়ে উল্লেখ আছে যেমন সূরা আল ইমরান 3 : ৭ ,সূরা নিসা ৪:১৬২, সূরা ইউসুফ ১২:৬৮, ১৭:১০৭ , সূরা
হাজ্ব:২২, আন নামল :১৫,৪০,৫২ ,সূরা কাসাস: ১৪-৮০ ,সুরা আনকাবুত :৪৩-৪৯ ,সূরা রুম: ৫৬, সূরা মুজাদালা: ১১, সাবা :৬, আরো বহু জায়গায়।

কোরআন ও সুন্নাহর ইলম মর্যাদা বৃদ্ধির উপায়

আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বলেন,

يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ ءَامَنُوا مِنكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجٰتٍ ۚ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ

তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় সমুন্নত করবেন। আর তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক অবগত (আল কুরআন ৫৮:১১)।

যারা জানে ও যারা জানেনা তারা পরস্পর সমান নয়

আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন বলেন :৩৯:৯

قُلْ هَلْ يَسْتَوِى الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ ۗ إِنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُولُوا الْأَلْبٰبِ

বল, ‘যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান?’ বিবেকবান লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে।
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা অন্য আয়াতে বলেন যারা জানে এবং যারা জানে না তাদের বিষয়ে চারটি পার্থক্য
সুরা ফাতির:১৯:২২...

وَمَا يَسْتَوِي الْأَعْمَى وَالْبَصِيْرُ، وَلاَ الظُّلُمَاتُ وَلاَ النُّوْرُ، وَلاَ الظِّلُّ وَلاَ الْحَرُوْرُ، وَمَا يَسْتَوِي الْأَحْيَاءُ وَلاَ الْأَمْوَاتُ
 ‘অন্ধ ও চক্ষুষ্মান সমান হতে পারে না। অন্ধকার ও আলো সমান হতে পারে না। ছায়া ও রোদ সমান হতে পারে না। আর জীবিত ও মৃত সমান হতে পারে না’ ।

ইলম অর্জনে ক্ষেত্রে লজ্জাকে পরিত্যাগ করা

ইমাম বুখারী রহঃ হাদীস এনেছেন যে দু'প্রকার লোক ইলম বা জ্ঞান অর্জন করতে পারে নাঃ
১) যে লজ্জা করে।
২) যে অহংকার করে।
(বুখারী)

وَقَالَ مُجَاهِدٌ لاَ يَتَعَلَّمُ الْعِلْمَ مُسْتَحْيٍ وَلاَ مُسْتَكْبِرٌ وَقَالَتْ عَائِشَةُ نِعْمَ
النِّسَاءُ نِسَاءُ الأَنْصَارِ لَمْ يَمْنَعْهُنَّ الْحَيَاءُ أَنْ يَتَفَقَّهْنَ فِي الدِّينِ.

মুজাহিদ (রহ.) বলেন, ‘লাজুক এবং অহঙ্কারী ব্যক্তি জ্ঞান অর্জন করতে পারে না। ‘আয়িশাহ (রাযি.) বলেন, ‘আনসারী মহিলারাই উত্তম। লজ্জা তাদেরকে ইসলামী জ্ঞান অন্বেষণ থেকে ফিরিয়ে রাখতে পারেনি।
(২৮২, ৩৩২৮, ৬০৯১, ৬১২১; মুসলিম ৩/৭, হাঃ ৩১৩, আহমাদ ২৬৬৭৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩২)

প্রতিযোগিতা ক্ষেত্রে হিংসা করা জায়েজ

'ক্বায়স বিন হাযিম' (রহ.) বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাযি.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেবল দু’টি বিষয়ে ইর্ষা করা বৈধ; (১) সে ব্যক্তির উপর, যাকে আল্লাহ্ সম্পদ দিয়েছেন, অতঃপর তাকে বৈধ পন্থায় অকাতরে ব্যয় করার ক্ষমতা দিয়েছেন; (২) সে ব্যক্তির উপর, যাকে আল্লাহ্ তা‘আলা প্রজ্ঞা দান করেছেন, অতঃপর সে তার মাধ্যমে বিচার ফায়সালা করে ও তা অন্যকে শিক্ষা দেয়।
(মুসলিম ৬/৪৭ হাঃ ৮১৬, আহমাদ ৩৪৫১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৩)


∆ইলিম বা জ্ঞান পৌঁছে দিতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু সালাম নির্দেশ দিয়েছেন

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বিদায় হজের দিন সাহাবাদের বলেছিলেন এখানে উপস্থিত ব্যক্তিরা অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে আমার কথা পৌঁছে দাও (বুখারি হাদিস নাম্বার ৬৭)।


আল্লাহ তাআলা বলেন:
সূরা তাওবা ৯:১২২ নাম্বার আয়াতে,

وَمَا كَانَ الْمُؤْمِنُونَ لِيَنفِرُوا كَآفَّةً ۚ فَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَآئِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِى الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوٓا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ

আর মুমিনদের জন্য সংগত নয় যে, তারা সকলে একসঙ্গে অভিযানে বের হবে। অতঃপর তাদের প্রতিটি দল থেকে কিছু লোক কেন বের হয় না, যাতে তারা দীনের গভীর জ্ঞান আহরণ করতে পারে এবং আপন সম্প্রদায় যখন তাদের নিকট প্রত্যাবর্তন করবে, তখন তাদেরকে সতর্ক করতে পারে, যাতে তারা (গুনাহ থেকে) বেঁচে থাকে।

এছাড়া আমরা দেখতে পাই জিনদের একটি দল কুরআন শুনে তারা জ্ঞান লাভ করে, তা তারা নিজেদের সম্প্রদায়ের কাছে গিয়ে ব্যক্ত করে, দ্বীন ইসলামের প্রচার করেছিল।
(সূরা ২৯থেকে ৩১ নম্বর আয়াত)

অপর পক্ষে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

حَدَّثَنَا أَبُوْ عَاصِمٍ الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ أَخْبَرَنَا الأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنَا حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ عَنْ أَبِيْ كَبْشَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ بَلِّغُوْا عَنِّيْ وَلَوْ آيَةً

এছাড়া নবী করীম সাল্লাল্লাহু সালাম বলেন, আমার কথা পৌঁছে দাও যদি তোমরা একটি কথা জানো
(বুখারী ৩৪৬১ নাম্বার হাদীস,আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২১২)

উপরোক্ত হাদীস ও আয়াত থেকে ইলম বা জ্ঞান অর্জন করা ও তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা যে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা মুমিন মুসলমানদের ওপর ফরযে আইন করেছেন সেটা বুঝা গেল।

∆নসিহত কারীদের উচিত যে মুসলিম অমুসলিম সবাইকে পাপ কর্ম করা হতে নিষেধ করা।∆

আল্লাহ তাআলা বলেন, সূরা আরাফ ৭ নম্বর সূরা ১৬৪ নাম্বার আয়াত,

وَإِذْ قَالَتْ أُمَّةٌ مِّنْهُمْ لِمَ تَعِظُونَ قَوْمًا ۙاللَّهُ مُهْلِكُهُمْ أَوْ مُعَذِّبُهُمْ عَذَابًا شَدِيدًا ۖ قَالُوا مَعْذِرَةً إِلٰى رَبِّكُمْ وَلَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ

আর স্মরণ কর, যখন তাদের একদল বলল, ‘তোমরা কেন উপদেশ দিচ্ছ এমন কওমকে, যাদেরকে আল্লাহ ধ্বংস করবেন অথবা কঠিন আযাব দেবেন’? তারা বলল, ‘তোমাদের রবের নিকট ওযর পেশ করার উদ্দেশ্যে। আশা করা যায় তারা সাবধান হবে’।

∆ইলম অনুযায়ী মানুষকে সৎপথে আহ্বানকারীরা আল্লাহর কাছে প্রশংসার যোগ্য।∆

আল্লাহ তাআলা বলেন:

وَمِمَّنْ خَلَقْنَآ أُمَّةٌ يَهْدُونَ بِالْحَقِّ وَبِهِۦ يَعْدِلُونَ

আর যাদেরকে আমি সৃষ্টি করেছি তাদের মধ্যে এমন একদল আছে যারা যথাযথভাবে পথ দেখায় এবং তদ্বারা ইনসাফ করে।
(আল কুরআন ৭:১৮১)

∆ইলম প্রচার করতে হবে সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে যদি মূর্খরা বিতর্ক করে তাহলে যুক্তির মাধ্যমে তার সঙ্গে বিতর্ক করতে হবে ∆
আল্লাহ তাআলা বলেন:

ادْعُ إِلٰى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ ۖ وَجٰدِلْهُم بِالَّتِى هِىَ أَحْسَنُ ۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِۦ ۖ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ

তুমি তোমরা রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহবান কর এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক কর। নিশ্চয় একমাত্র তোমার রবই জানেন কে তার পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়েছে এবং হিদায়াতপ্রাপ্তদের তিনি খুব ভাল করেই জানেন।
(আল কুরআন ১৬:১২৫)

অপরদিকে আল্লাহ বলেন,

وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّن دَعَآ إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صٰلِحًا وَقَالَ إِنَّنِى مِنَ الْمُسْلِمِينَ

আর তার চেয়ে কার কথা উত্তম, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, অবশ্যই আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত’?
(সূরা হামীম সাজদা বা ফসিলত
৪১:৩৩)

উপরোক্ত দায়িত্বসমূহ যারা যথাযথভাবে পালন করে, মহান আল্লাহ তাদের সম্পর্কে বলেন, তাদের কথাই হল সবচেয়ে উত্তম ।সূরা হা-মীম সেজদা ৩৩ নাম্বার আয়াত।

তাই ইলম বা জ্ঞান অর্জন করার পর সে জ্ঞান অনুযায়ী সমস্ত ধরনের লোকদের আল্লাহর পথে আহবান করা অতি অবশ্য পালনীয় কর্তব্য ,যেটা সব ধরনের আলেম বা জ্ঞানীদের পালন করতে হবে।




Next Post Previous Post
3 Comments
  • নামহীন
    নামহীন ২৪ আগস্ট, ২০১৯ এ ১২:২৭ AM

    জাজাকাল্লাহ খাইরান, খুব সুন্দর লেখনি ।

    • Rajesh shaikh
      Rajesh shaikh ২৯ আগস্ট, ২০১৯ এ ১০:৪১ AM

      Barakallah fikum

  • Unknown
    Unknown ২৪ আগস্ট, ২০১৯ এ ১:০০ AM

    খুব ভালো লাগলো।

Add Comment
comment url