হে ঈমান-দারগণ, তোমাদের উপর সিয়াম (রোজা) ফরজ করা হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্ত্তী লোকদের উপর সিয়াম (রোজা) ফরজ করা হয়েছিল যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো। (সুরা-বাক্বারা, আয়াত-১৮৩)
সেহরির গুরুত্ব ও ফযীলত
আযান ও সাহরীর মাঝে ব্যবধান
(সহীহ বুখারী, কিতাবুস সওম, হাঃ নং- ১৯২১)
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘ আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নামায পড়ার আগে কতিপয় টাটকা পাকা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। যদি টাটকা পাকা খেজুর না পেতেন, তাহলে শুকনো কয়েকটি খেজুর যোগে ইফতার করতেন। যদি শুকনো খেজুরও না হত , তাহলে কয়েক ঢোক পানি পান করতেন।
(সহীহ আবূ দাঊদ ২৩৫৮ ,সহীহ আত-তিরমিযী ৬৯৬)
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘ আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, লোকেরা যতদিন দ্রুত (সময় হওয়া মাত্র) ইফতার করবে, ততদিন কল্যাণের মধ্যে অবস্থান করবে।
(বুখারী ১৯৫৭, মুসলিম ১০৯৮)
ইফতারের দুআঃ বিসমিল্লাহ
তিনি বলেন, (একদা খাবার সময়) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ‘‘( শুরুতে) ‘বিসমিল্লাহ’ বল, ডান হাত দ্বারা আহার কর এবং তোমার নিকট (সামনে) থেকে খাও।
(সহীহুল বুখারী ৫৩৭৬, ৫৩৭৭, ৫৩৭৮, মুসলিম ২০২২, আবূ দাউদ ৩৭৭৭, ইবনু মাজাহ ৩২৬৭, আহমাদ ১৫৮৯৫, ১৫৯০২, মুওয়াত্তা মালেক ১৩৩৮, দারেমী ২০১৯, ২০৪৫)
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমাদের কেউ যখন আহার করবে, সে যেন শুরুতে আল্লাহ তা ‘ আলার নাম নেয়। যদি শুরুতে আল্লাহর নাম নিতে ভুলে যায়, তাহলে সে যেন বলে, বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু অ আখেরাহ।
(আবূ দাউদ ৩৭৬৭, তিরমিযী ১৮৫৮, ইবনু মাজাহ ৩২৬৪, আহমাদ ২৫২০৫, ২৫৫৫৮, ২৫৭৬০, দারেমী ২০২০)
ইফতারের পরের দুআঃ
যাহাবায যামায়ো অব তাল্লাতিল উরুক্কো ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশা-আল্লাহ। (আবু দাউদ, মিশকাত)
লাইলাতুল কদর
(সূরা ক্বদর, আয়াত ১-৫)
লাইলাতুল কদর কবে?
সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ কত?
ফিতরাঃ
ইব্নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, প্রত্যক গোলাম, আযাদ, পুরুষ , নারী , প্রাপ্ত বয়স্ক, অপ্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের উপর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) সদকাতুল ফিতর হিসেবে খেজুর হোক অথবা যব হোক এক সা’ পরিমাণ আদায় করা ফরয করেছেন এবং লোকজনের ঈদের সালাতের বের হবার পূর্বেই তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।
(সহীহ বুখারী, কিতাবুয যাকাত, হাঃ নং- ১৫০৩)
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা এক সা’ পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা’ পরিমাণ যব অথবা এক সা’ পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা ’ পরিমাণ পনির অথবা এক সা ’ পরিমাণ কিসমিস দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।
(সহীহ বুখারী, কিতাবুয যাকাত, হাঃ নং- ১৫০৬)
(আবদুল্লাহ্) ইব্নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদেরকে ঈদের সালাতের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পূর্বেই সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দেন।
(সহীহ বুখারী, কিতাবুয যাকাত, হাঃ নং- ১৫০৯)
ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) অপ্রাপ্ত বয়স্ক, প্রাপ্ত বয়স্ক, আযাদ ও গোলাম প্রত্যেকের পক্ষ হতে এক সা ’ যব অথবা এক সা’ খেজুর সদকাতুল ফিতর হিসেবে আদায় করা ফরজ করে দিয়েছেন।
সহিহ (সহীহ বুখারী, কিতাবুয যাকাত, হাঃ নং- ১৫১২)
(সহীহ বুখারী, কিতাবুয যাকাত, হাঃ নং- ১৫০৩)
তিনি বলেন, আমরা এক সা’ পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা’ পরিমাণ যব অথবা এক সা’ পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা ’ পরিমাণ পনির অথবা এক সা ’ পরিমাণ কিসমিস দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।
(সহীহ বুখারী, কিতাবুয যাকাত, হাঃ নং- ১৫০৬)
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদেরকে ঈদের সালাতের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পূর্বেই সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দেন।
(সহীহ বুখারী, কিতাবুয যাকাত, হাঃ নং- ১৫০৯)
0 মন্তব্যসমূহ