কোন সূরায় দাড়ির কথা আছে?
দাড়ি শব্দের উল্লেখ আছে পবিত্র ক্বুর'আনে—
لاَتَاْخُذْ بِلِحْيَتِیْ
হারুন (আলাইহিস সালাম) মূসা (আলাইহিস সালাম) কে বলেছিলেন, হে আমার সহোদর তুমি আমার দাড়ি ধরিও না।
(সূরা ত্বহা আয়াত-৯৪)
রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম) এর নির্দেশ অমান্য করার শাস্তি নিম্নরূপ—(সূরা ত্বহা আয়াত-৯৪)
দাড়ি রাখার হাদিস
রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দাড়ি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন—
خَالِفُوا الْمُشْرِكِيْنَ وَفِّرُوْا اللِّحْیَ وَحْفُوا لشَّوَارِبَ
অর্থঃ মুশরিকদের বিপরীত করো, দাড়ি বাড়াও এবং গোঁহ ছোট করো।
(বুখারী হা/৫৫৫৩, মুসলিম হা/২৫৯,৩৮২' আল্ লু'লু অল মারজান ১/৯৩ হা/১৪৭, আস্ সুনানুল কুবরা ১১৫০ হা/৭০৯)
দাড়ি বাড়ানোর নির্দেশ আল্লাহ্ তা'আলাও দিয়েছেন।
হাদীসে কুদসীটি নিম্নরূপঃ—
আব্দুল্লাহ্ বিন আতাবাহ্ (রাযি আল্লাহ্ আনহু) বলেন, এক অগ্নিপূজক রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আসলো। তার দাড়ি ছোট বা কাটা ছিল এবং গোঁফ বড় ছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন তোমাকে কে এরূপ নির্দেশ দিয়েছে? সে বলল, আমার প্রতিপালক বা মালিক আমাকে এই নির্দেশ দিয়েছে। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন কিন্তু আমার রব তো আমাকে দাড়ি বড় করার এবং গোঁফ ছোট করার নির্দেশ দিয়েছেন(হাদীসটি হাসান)।
(আত তামহীন ২০/৫৫, মুসনামুল হারিস (যাওয়াইদুল হাইসামী) ২/৬২০, মাওসুআতু খাতবুল মুনীর ১/৪১৫৭, দাফাউ আনিল হাদীসিন নবাবী ১/৫১, ফিকহুস সীরাহ্ ১/৩৫৯, হিজাবুল মারআতিল মুসলিমাহ্ ৯৪-৯৫ ১/৭৯)
হাদীসে কুদসীটি নিম্নরূপঃ—
আব্দুল্লাহ্ বিন আতাবাহ্ (রাযি আল্লাহ্ আনহু) বলেন, এক অগ্নিপূজক রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আসলো। তার দাড়ি ছোট বা কাটা ছিল এবং গোঁফ বড় ছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন তোমাকে কে এরূপ নির্দেশ দিয়েছে? সে বলল, আমার প্রতিপালক বা মালিক আমাকে এই নির্দেশ দিয়েছে। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন কিন্তু আমার রব তো আমাকে দাড়ি বড় করার এবং গোঁফ ছোট করার নির্দেশ দিয়েছেন(হাদীসটি হাসান)।
(আত তামহীন ২০/৫৫, মুসনামুল হারিস (যাওয়াইদুল হাইসামী) ২/৬২০, মাওসুআতু খাতবুল মুনীর ১/৪১৫৭, দাফাউ আনিল হাদীসিন নবাবী ১/৫১, ফিকহুস সীরাহ্ ১/৩৫৯, হিজাবুল মারআতিল মুসলিমাহ্ ৯৪-৯৫ ১/৭৯)
আবু হুরাইরা (রাযি আল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অ সাল্লাম) নির্দেশ দিয়েছেন, তােমরা গোঁফ খাট কর এবং দাড়িকে বাড়াও। কেননা অগ্নিপূজকরা গোঁফ বড় করে এবং দাড়িকে ছােট করে। সুতরাং তােমরা তাদের বিপরীত কর গোঁফ ছােট কর এবং দাড়িকে বাড়াও।
(সহীহাহ হা/৩১২৩, ইবনু হিব্বান হা/৫৬০, মালেক হা/১৪৮৮)
(সহীহাহ হা/৩১২৩, ইবনু হিব্বান হা/৫৬০, মালেক হা/১৪৮৮)
ইবনু উমার থেকে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অ সাল্লাম) বলেছেন, গোঁফ ছােট কর এবং দাড়ি বাড়াও।
(তিরমিযী হা/২৭৬৩, আর রাওযুননযীর হা/১০৩৫, আদাবুয যিফাফ হা/১২০ হিজাবুল মারআতিল মুসলিমাহ্ হা/৯৪, সহীহ্ তিরমিযী হা/২৯২৫, রিয়াযুস স্বলিহীন হা/১২১৩, সহীহুল জামে হা/২০৭, নাসাঈ হা/৫০৪৫, মিশকাত হা/৪৪২১)আল্লাহ তাআলা বলেন—
لَا تَجۡعَلُوۡا دُعَآءَ الرَّسُوۡلِ بَیۡنَکُمۡ کَدُعَآءِ فَلۡیَحۡذَرِ الَّذِیۡنَ یُخَالِفُوۡنَ عَنۡ اَمۡرِہٖۤ اَنۡ تُصِیۡبَہُمۡ فِتۡنَۃٌ اَوۡ یُصِیۡبَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ
অর্থাৎঃ সাবধান! যারা রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অ সাল্লাম) এর নির্দেশের বিপরীত করবে তারা ফিৎনা বা বিপর্যয়ে নিমজ্জিত হবে কিংবা বড় ধরণের শাস্তিতে নিমজ্জিত হবে।
(সূরাতুন নূর ৬৩)
উপরােক্ত আয়াত ও সহীহ্ হাদীস সমূহ থেকে দাড়ি রাখা ওয়াজিব প্রমাণিত হয়। এ সম্পর্কে বিদ্বানদের উক্তি নিম্নরূপঃ—
প্রত্যেক মুসলিমের জন্য দাড়ি বড় করা অপরিহার্য।
(মাজমু ফাতাওয়া ইবনে বায ৩/৩৬৪ পৃঃ)
প্রত্যেক মুসলিমের জন্য দাড়ি বড় করা অপরিহার্য।
(মাজমু ফাতাওয়া ইবনে বায ৩/৩৬৪ পৃঃ)
১। শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) বলেন, দাড়ি বড় করা অপরিহার্য এবং কাটা বা ছাঁটা হারাম ।
(দুরুসুন লিশ শায়খ আলবানী ৩২/১১, তামামুল মিন্নাহ্ ১/৮২)
(দুরুসুন লিশ শায়খ আলবানী ৩২/১১, তামামুল মিন্নাহ্ ১/৮২)
২। আল্লামাহ্ ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ্ (রহঃ) বলেন, দাড়ি কাটা হারাম।
(শারহুল উমদাহ্ ১/২৩৬ ফাতাওয়া আল কুবরা ৪/৩৮৮ আল ইখতিয়ারাত ২৬ পৃঃ)
(শারহুল উমদাহ্ ১/২৩৬ ফাতাওয়া আল কুবরা ৪/৩৮৮ আল ইখতিয়ারাত ২৬ পৃঃ)
৩।ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, দাড়ি যে অবস্থায় আছে। সে অবস্হায়ই ছাড়তে হবে।
(শরহু মুসলিম ১/১২৯, আল মাজমু ১/৩৪৩)
(শরহু মুসলিম ১/১২৯, আল মাজমু ১/৩৪৩)
৪। আশ্ শায়খ আলী মাহফুয (রহঃ) বলেন, চার মাযহাবের সর্বসম্মতিক্রমে দাড়ি বড় করা ওয়াজিব এবং কাটা বা ছাঁটা হারাম।
(আল ইবদা ৪০৮ পৃঃ)
(আল ইবদা ৪০৮ পৃঃ)
৫। ইমাম আযরূঈ (রহঃ) বলেন, দাড়ি কাটা হারাম।
(হাশিয়াহুশারওয়ানী ৯/৩৭৬)
(হাশিয়াহুশারওয়ানী ৯/৩৭৬)
৬। আল্লামাহ্ ইমাম ইবনুল কাইউম জাওযী (রহঃ) বলেন, দাড়ি ছােট করা আমাদের জন্য এটা অপছন্দনীয়।
(শারাহ্ ইবনু মাজাহ ১/৬৭, আল ইত্তিহাফ ৮/১৬০ পৃঃ)
(শারাহ্ ইবনু মাজাহ ১/৬৭, আল ইত্তিহাফ ৮/১৬০ পৃঃ)
৭। ইমাম ইবনে হয্ম (রহঃ) বলেন, এ বিষয়ে ইজমা আছে যে, গোঁফ ছােট করা এবং দাড়ি বড় করা ফরয।
(মুরাতিবুল ইজমা ১৫৭ পৃঃ, আল্ মুহাল্লা ২/২২০)
(মুরাতিবুল ইজমা ১৫৭ পৃঃ, আল্ মুহাল্লা ২/২২০)
৮। আল্লামাহ্ আব্দুর রহমান মুবারকপুরী (রহঃ) বলেন, দাড়ি কাটা ও ছাঁটা হারাম।
(তুহফাতুল আহওয়াযী ৮/৩৯ পৃঃ)
(তুহফাতুল আহওয়াযী ৮/৩৯ পৃঃ)
৯। আশ্ শায়খ মােহাম্মাদ বিন ইসমাঈল (রহঃ) বলেন, দাড়ি কাটা হারাম।
(ইলামুল মুয়ক্কেঈন ১/৩৯)
(ইলামুল মুয়ক্কেঈন ১/৩৯)
১০। আল হাত্তাব (রহঃ) বলেন, দাড়ি কাটা বৈধ নয়।
(মাওয়াহিবুল জালীল ১/২১৬)
(মাওয়াহিবুল জালীল ১/২১৬)
১১। ইবনু ইউসুফ (রহঃ) বলেন, দাড়ি কাটা হারাম।
(দলীলুত ত্বলেব ১/৮)
(দলীলুত ত্বলেব ১/৮)
১২। আল বহুতী (রহঃ) বলেন, দাড়ি কাটা হারাম।
(কাশশাফুল ক্বেনা ১/৭৫)
(কাশশাফুল ক্বেনা ১/৭৫)
১৩। আল্লামাহ্ ইবনু আকিল বার (রহঃ) বলেন, দাড়ি কাটা হারাম।
(আতামহীদ ৬/৮০)
(আতামহীদ ৬/৮০)
১৪।ইবনু আবেদীন হানাফী (রহঃ) বলেন, দাড়ি কাটা হারাম।
(তাহক্বীহুল ফাতাওয়া আল হামিদিয়্যাহ্ ১/৩২৯, রাদ্দুল মুহতার ৫/২৬১, আল্ হাশীয়াহ ২/৪১৭)
(তাহক্বীহুল ফাতাওয়া আল হামিদিয়্যাহ্ ১/৩২৯, রাদ্দুল মুহতার ৫/২৬১, আল্ হাশীয়াহ ২/৪১৭)
১৫।আশ্ শায়খ ইসমাঈল আল আনসারী (রহঃ) বলেন, দাড়ি কাটা হারাম।
(হামিশাতু আলা তাহরীমি হালকিল লেহা ৬পৃঃ)
(হামিশাতু আলা তাহরীমি হালকিল লেহা ৬পৃঃ)
১৬। আল্লামাহ্ ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন, দাড়ি কাটা বৈধ নয়।
(আল্ মুফহিম ১/৫১২)
(আল্ মুফহিম ১/৫১২)
১৭। আল্লামাহ্ অলিউল্লাহ্ মুহাদ্দিস দেহলবী (রহঃ) বলেন, দাড়ি ছােট করা অগ্নিপূজকদের রীতি এবং আল্লাহর সৃষ্টির পরিবর্তন।
(হজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ ১/১৮২পৃঃ)
(হজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ ১/১৮২পৃঃ)
১৮| আশ শায়খ উসমান বিন আব্দুল কাদীর আস সাফী (রহঃ) বলেন, দাড়ি কাটা হল শয়তানের অনুসরণ।
(হুকমুশ শারহে ফিল লেহইয়া অল আযইয়া ১৯ পৃঃ, সূরা নিসা ১১৯)
(হুকমুশ শারহে ফিল লেহইয়া অল আযইয়া ১৯ পৃঃ, সূরা নিসা ১১৯)
১৯। আল্লামাহ্ আল কান্দহলােবী (রহঃ) বলেন, কোন সন্দেহ পােষণকারী এ বিষয়ে সন্দেহ করবে না যে, দাড়ি বিহীন পুরুষ পূর্ণাঙ্গ মেয়ে।
(নায়লুল আওতার ১/১২৩)
(নায়লুল আওতার ১/১২৩)
২০।শায়খ আস সাফারীনিঈ (রহঃ) বলেন, দাড়ি মুণ্ডন করা হারাম।
(গাযাউল আলবাব ১/৩৭৬)
(গাযাউল আলবাব ১/৩৭৬)
২১। আল ইমামুল আদিল উমার আব্দুল আযীয (রহঃ) বলেন, দাড়ি কাটা হল 'মুসলহ্’ আর মুসলাহ্ থেকে রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অ সাল্লাম) নিষেধ করেছেন।
(সুনানু আবু দাউদ হা/৪৩৭০)
(সুনানু আবু দাউদ হা/৪৩৭০)
২২। আল্লামা আবুল হাসান ইবনুল কাত্তান (রহঃ) বলেন, সর্বসম্মতি ক্রমে দাড়ি কাটা হল (মুসলাহ্) যা অবৈধ।
(আইনা ফী মাসায়িলিল ইজমা ২/৩৯৫২)
(আইনা ফী মাসায়িলিল ইজমা ২/৩৯৫২)
২৩। আশ্ শায়খ সলেহ বিন ফাওযান আল ফাওযান (রহঃ) বলেন, দাড়ি মুণ্ডন করা হারাম।
(আল্ বায়ান ৩১২পৃঃ)
(আল্ বায়ান ৩১২পৃঃ)
২৪। শায়খ মােহাম্মাদ বিন সালেহ্ আল উসাইমীন (রঃ) বলেন, দাড়ি কাটা হারাম। কেননা রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অ সাল্লাম) এর নাফরমানী।
(মাজমু ফাতাওয়া রাসাইল ১১/১২৬, আল জামিউ লি আহকামিস্ সলাত ১/১৯২, কুতুবুর রদুদ 8/৩১২, বাদাউ অ মুনকারাতুল আফরাহ্ ১/২২, মাজাল্লাতুল বহুসিল ইসলামিয়্যাহ্ ২২/৭২, ফাতাওয়া নং ৪৭৬২, ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ্ ফাতাওয়া নং ৮০৫৯, ফাতাওয়াল ইসলামিয়্যাহ 8/৫৬৬, ফাতাওয়া শাকাতুল ইসলামিয়্যাহ্ ২/২৫১১, ফাতাওয়া নং ১৪০৫৫)
(মাজমু ফাতাওয়া রাসাইল ১১/১২৬, আল জামিউ লি আহকামিস্ সলাত ১/১৯২, কুতুবুর রদুদ 8/৩১২, বাদাউ অ মুনকারাতুল আফরাহ্ ১/২২, মাজাল্লাতুল বহুসিল ইসলামিয়্যাহ্ ২২/৭২, ফাতাওয়া নং ৪৭৬২, ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ্ ফাতাওয়া নং ৮০৫৯, ফাতাওয়াল ইসলামিয়্যাহ 8/৫৬৬, ফাতাওয়া শাকাতুল ইসলামিয়্যাহ্ ২/২৫১১, ফাতাওয়া নং ১৪০৫৫)
২৫। ইমাম আহমাদ আত ত্বহাবী হানাফী (রঃ) বলেন, দাড়ি মুণ্ডন করা কারাে জন্য বৈধ নয়।
(হাশিয়াতুত ত্বহাণী আলা মুরাক্বী আল ফাল্লাহ্ ১/৪৪৫)
(হাশিয়াতুত ত্বহাণী আলা মুরাক্বী আল ফাল্লাহ্ ১/৪৪৫)
২৬। মােহাম্মাদ বিন আরাফাহ্ আদ্ দাসুক্বী আল মালেকী (রহঃ) বলেন, দাড়ি মুণ্ডন করা হারাম।
(আশ্ শারহুল কাবীর ১/৯০)
(আশ্ শারহুল কাবীর ১/৯০)
২৭। শায়খ আব্দুলাহ্ আবা বাত্তীন (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল মানুষের দাড়ি লম্বা হয়ে গেলে ছোট করা বা কাটা যাবে কি না? উত্তরে তিনি বলেন, এটা স্পষ্টঅপছন্দনীয়। কারণ রসুলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অ সাল্লাম) দাড়ি বাড়াতে বলেছেন।
(আদ্ দুরারুস্ সানিয়্যাহ্ ৪/১৫০)
(আদ্ দুরারুস্ সানিয়্যাহ্ ৪/১৫০)
২৮। আল্লামা ইরাকী (রহঃ) বলেন, দাড়ি তার নিজ অবস্থায় ছেড়ে দিতে হবে এবং তা থেকে কিছুই কাটা যাবেনা।
(আরসীফু মুলতাক্বী আহ্লুল হাদীস ১/৬৬০৯ পৃঃ, ইত্তিহাফুস সায়েল বিমা ফিত ত্বহাবীয়্যাহ্ মিম মাসায়েল ২৮/৮)
(আরসীফু মুলতাক্বী আহ্লুল হাদীস ১/৬৬০৯ পৃঃ, ইত্তিহাফুস সায়েল বিমা ফিত ত্বহাবীয়্যাহ্ মিম মাসায়েল ২৮/৮)
২৯। শায়খ আলবানীর নিকট লম্বা দাড়িকে ছােট করা বিদ্আত।
(আরসীফু মুলতাক্বী আহ্লুল হাদীস ১/৬৬০৯ পৃঃ, ইত্তিহাফুস সায়েল বিমা ফিত ত্বহাবীয়্যাহ্ মিম মাসায়েল ২৮/৮)
(আরসীফু মুলতাক্বী আহ্লুল হাদীস ১/৬৬০৯ পৃঃ, ইত্তিহাফুস সায়েল বিমা ফিত ত্বহাবীয়্যাহ্ মিম মাসায়েল ২৮/৮)
ইবনু উমারের হজ্ব ও উমরার সময় দাড়ি কাটার কারণ ও তার জবাব—
عَنْ اِبْنِ عُمَرَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللَّهِ ﷺ اِرْحَمّّ اللَّهُ الْمُحَلِّقِيْنَ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللَّهِ وَ الْمُقَصِّرِيْنَ ثَلَا ثَ مَرَّاتٍ فَقَالَ فِی الرَّابِعَةِ وَ الْمُقَصِّرِيْنَ
অর্থাৎ ইবনু উমার থেকে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অ সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা মাথা মুণ্ডনকারীদের উপর দয়া করুন। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, চুল কর্তনকারীদের উপরও কি? তিনি সেটা তৃতীয়বার বা চতুর্থবারে বললেন, চুল ছােটকারী বা কর্তনকারীদের উপরও আল্লাহ্ দয়া করুন।
(আল মুসনাদুল মুসতাখরাজ আলা সহীহ্ মুসলিম হা/৩০০৫)
উক্ত হাদীসের মানদণ্ডে তিনি বুঝেছিলেন যে, মাথা মুণ্ডন করা বা চুল ছেঁটে ফেলাতে আল্লাহ্ অনুগ্রহ করবেন। তাই তিনি দ্বিগুণ নেকী বা সওয়াব পাওয়ার উদ্দেশ্যে মাথা মুণ্ডন করেন এবং দাড়ির এক মুষ্ঠি বর্ধিতাংশ কেটে ফেলেন। আর এ সম্পর্কিত একটি আয়াত আছে সূরাতুল ফাত্হ ২৭ যেটা অবতীর্ণ হয়েছিল যষ্ঠ হিজরীতে হুদায়বিয়ার প্রান্তরে। সুতরাং ইবনু উমার হজ্ব বা উমরার সময় দাড়ির এক মুষ্ঠি বর্ধিতাংশ কেটে ফেলতেন।
(বুখারী হা/৫৪৪২, মুসলিম হা/২৫৯, তুহফাতুল আহওয়াযী হা/৪২৩, মুয়ত্ত্বা হা/২৭২৫, নাসবুর রায়াহ ২/৪৫৮, শুআবুল ঈমান হা/৬৪৩৬)
১। শায়খ ইবনে বায (রহঃ) বলেন, উক্ত হাদীস থেকে দাড়ি কাটার দলীল নেওয়া যাবে না। কেননা এটা ইবনু উমারের ইজতিহাদ ছিল। এ ইজতিহাদ হল সুন্নাহর পরিপন্থী। তাই হুজ্জত বা দলীল অগ্রগণ্য হবে বা প্রাধান্য পাবে।
(ফাতাওয়া ও মাকালাত ইবনে বায ৮/৩৭০ পৃঃ)
২। শায়খ আব্দুর রহমান বিন কাসিম (রহঃ) বলেন, উক্ত হাদীসের মানদণ্ডে কিছু বিদ্বান দাড়ির এক মুষ্ঠি বর্ধিতাংশ কেটে ফেলার বৈধতা বা অনুমােদন দিয়েছেন এবং অধিকাংশই বিদ্বান এটাকে অপছন্দ বলেছেন। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, কারাে জন্য বৈধ নয় এক মুষ্ঠি বর্ধিতাংশ কেটে দেওয়া।
(রিসালাতু তাহরীমে হালকিল লেহা ১১ পৃঃ)
৩| মারকাযুল ফাতাওয়া বিইশরাক আব্দুল্লাহ্আল ফাকীহ্ বলেন, উক্ত হাদীসের মানদণ্ডে হজ্ব এবং উমরার সময় ছাড়া দাড়ি কাটলে স্পষ্ট রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম) এর নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করা হয়।
(ফাতাওয়া শাবকাতুলইসলামিয়্যাহ।২/১৯৬, ফাতাওয়া নং ৩৮৫১,১৪০৫৫)
৪। আল্লামাহ্ কিরমানী (রহঃ) বলেন যে, সম্ভবত ইবনে উমার মুণ্ডন করা ও ছেঁটে ফেলাকে একত্রিত করতে চেয়েছিলেন। সুতরাং তিনি পুরাে মাথা মুণ্ডন করেছিলেন এবং দাড়িকে ছােট করেছিলেন।
(তুহফাতুল আহওয়াযী ৮/৩৯, ফাতহুল বারী ১০/৩৫০)
৫। আল্লামাহ্ ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন, ইবনু উমারের এক মুষ্ঠি বর্ধিতাংশ দাড়ি কেটে ফেলার ফলে কারাে জন্য বৈধ নয় যে, কেউ সর্বাবস্থায় দাড়ি কাটবে। কারণ তিনি হজ্ব ও উমরার সময় দাড়ি কেটে ছিলেন।
(নায়লুল আওতার ১/১৩৮, মুয়াল্লিফাতুল ফাওযান ১৮/১৪৮)
ইবনু উমার লােকেদের ফাতাওয়া দেন হজ্জে তামাত্তু করার জন্য। কিন্তু লােকেরা বলে আপনি কেমন করে আপনার পিতার বিরুদ্ধাচরণ বা বিপরীত করবেন? তিনি উমরা থেকে নিষেধ করেন। তিনি বললেন, তােমরা ধ্বংস হও। সাবধান! আল্লাহকে ভয় কর। তােমরা কার পদ্ধতি আগে মানবে উমারের না রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অ সাল্লাম) এর?
(মুসনাদে আহমাদ হা/৫৭০০, জামিউল উসুল ফী আহাদীসির রসূল হা/১৪০১, তিরমিযী হা/৭৫৩, তুহফাতুল আশরাফ হা/৬৯৬৫,সহীহ্ ও যঈফ তিঃ হা/৮২৩)
উক্ত হাদীস থেকেও প্রমাণিত হয় যে, ইবনু উমার সুন্নাহর প্রতি কত আগ্রহী ছিলেন। তিনি হজ্ব ও উমরা ছাড়া কখনাে দাড়ি ছাঁটতেন না। কারণ তিনি নিজেই দাড়ি বাড়ানাের ব্যাপারে।।রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অ সাল্লাম) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। আজকাল আলেম। সাহেবরা তথা জনসাধারণও ইবনু উমারের হাদীসের পরিপন্থী আমল করছেন। কারণ তিনি এক মুষ্ঠি বর্ধিতাংশ দাড়ি হেঁটেছেন। তবুও তিনি হজ্ব ও উমরার সময় এ আমল করতেন। কিন্তু আমার মুসলিম ভায়েরা যে কোন সময় যেমন সাপ্তাহিক, মাসিক দাড়ি কাটাই চায়। তাও আবার দাড়ি সম্পূর্ণরূপে ঘেঁটে দেন বা রাখলেও একমুষ্ঠির কম। আল্লাহ তাআলা বলেন, যদি তােমাদের মধ্যে কোন বিষয়ে মতানৈক্য বা মতপার্থক্য হয়, তাহলে তােমরা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম) এর দিকে প্রত্যাবর্তন কর।
(সূরা নিসা ৫৯)
আল্লাহ তাআলা অন্যত্র বলেন, অবশ্যই রসূলুল্লাহ তােমাদের জন্য উত্তম আদর্শ।
(সূরাতুল আহযাব ২১)
অতএব আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম) এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়া এবং তাঁর।গুণে গুণান্বিত হওয়া। দাড়ি প্রসঙ্গে রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম) এর উপর মিথ্যারােপ—
(ফাতাওয়া ও মাকালাত ইবনে বায ৮/৩৭০ পৃঃ)
২। শায়খ আব্দুর রহমান বিন কাসিম (রহঃ) বলেন, উক্ত হাদীসের মানদণ্ডে কিছু বিদ্বান দাড়ির এক মুষ্ঠি বর্ধিতাংশ কেটে ফেলার বৈধতা বা অনুমােদন দিয়েছেন এবং অধিকাংশই বিদ্বান এটাকে অপছন্দ বলেছেন। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, কারাে জন্য বৈধ নয় এক মুষ্ঠি বর্ধিতাংশ কেটে দেওয়া।
(রিসালাতু তাহরীমে হালকিল লেহা ১১ পৃঃ)
৩| মারকাযুল ফাতাওয়া বিইশরাক আব্দুল্লাহ্আল ফাকীহ্ বলেন, উক্ত হাদীসের মানদণ্ডে হজ্ব এবং উমরার সময় ছাড়া দাড়ি কাটলে স্পষ্ট রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম) এর নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করা হয়।
(ফাতাওয়া শাবকাতুলইসলামিয়্যাহ।২/১৯৬, ফাতাওয়া নং ৩৮৫১,১৪০৫৫)
৪। আল্লামাহ্ কিরমানী (রহঃ) বলেন যে, সম্ভবত ইবনে উমার মুণ্ডন করা ও ছেঁটে ফেলাকে একত্রিত করতে চেয়েছিলেন। সুতরাং তিনি পুরাে মাথা মুণ্ডন করেছিলেন এবং দাড়িকে ছােট করেছিলেন।
(তুহফাতুল আহওয়াযী ৮/৩৯, ফাতহুল বারী ১০/৩৫০)
৫। আল্লামাহ্ ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন, ইবনু উমারের এক মুষ্ঠি বর্ধিতাংশ দাড়ি কেটে ফেলার ফলে কারাে জন্য বৈধ নয় যে, কেউ সর্বাবস্থায় দাড়ি কাটবে। কারণ তিনি হজ্ব ও উমরার সময় দাড়ি কেটে ছিলেন।
(নায়লুল আওতার ১/১৩৮, মুয়াল্লিফাতুল ফাওযান ১৮/১৪৮)
ইবনু উমার লােকেদের ফাতাওয়া দেন হজ্জে তামাত্তু করার জন্য। কিন্তু লােকেরা বলে আপনি কেমন করে আপনার পিতার বিরুদ্ধাচরণ বা বিপরীত করবেন? তিনি উমরা থেকে নিষেধ করেন। তিনি বললেন, তােমরা ধ্বংস হও। সাবধান! আল্লাহকে ভয় কর। তােমরা কার পদ্ধতি আগে মানবে উমারের না রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অ সাল্লাম) এর?
(মুসনাদে আহমাদ হা/৫৭০০, জামিউল উসুল ফী আহাদীসির রসূল হা/১৪০১, তিরমিযী হা/৭৫৩, তুহফাতুল আশরাফ হা/৬৯৬৫,সহীহ্ ও যঈফ তিঃ হা/৮২৩)
উক্ত হাদীস থেকেও প্রমাণিত হয় যে, ইবনু উমার সুন্নাহর প্রতি কত আগ্রহী ছিলেন। তিনি হজ্ব ও উমরা ছাড়া কখনাে দাড়ি ছাঁটতেন না। কারণ তিনি নিজেই দাড়ি বাড়ানাের ব্যাপারে।।রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অ সাল্লাম) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। আজকাল আলেম। সাহেবরা তথা জনসাধারণও ইবনু উমারের হাদীসের পরিপন্থী আমল করছেন। কারণ তিনি এক মুষ্ঠি বর্ধিতাংশ দাড়ি হেঁটেছেন। তবুও তিনি হজ্ব ও উমরার সময় এ আমল করতেন। কিন্তু আমার মুসলিম ভায়েরা যে কোন সময় যেমন সাপ্তাহিক, মাসিক দাড়ি কাটাই চায়। তাও আবার দাড়ি সম্পূর্ণরূপে ঘেঁটে দেন বা রাখলেও একমুষ্ঠির কম। আল্লাহ তাআলা বলেন, যদি তােমাদের মধ্যে কোন বিষয়ে মতানৈক্য বা মতপার্থক্য হয়, তাহলে তােমরা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম) এর দিকে প্রত্যাবর্তন কর।
(সূরা নিসা ৫৯)
আল্লাহ তাআলা অন্যত্র বলেন, অবশ্যই রসূলুল্লাহ তােমাদের জন্য উত্তম আদর্শ।
(সূরাতুল আহযাব ২১)
অতএব আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম) এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়া এবং তাঁর।গুণে গুণান্বিত হওয়া। দাড়ি প্রসঙ্গে রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম) এর উপর মিথ্যারােপ—
عن عمر ابن هارون عن اسامة بن زيد عن عمرو بن شعيب عن أبيه عن جدة أن النبي كان يأخذ من لحيته من عرضها وطولها
অর্থাৎ নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম) তাঁর দাড়ির দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ছাঁটতেন (হাদীসটি জাল)।
(কানযুল উম্মাল হা/১৭২২১ তুহফাতুল আহওয়াযী ৮/৪৬, যঈফাহ হা/২৮৮,আল উকাইলী ফিয যুআফা ২৮৮ পৃঃ, ইবনু আদী হা/২৪৩, যঈফুল জামে হা/৪৫১৭, গায়াতুল মারাম হা/১১৯, মিশকাত হা/৪৪৩৯, শারহুলস সুন্নাহ্ ১২/১০৮, উমদাতুল কারী ৩২/৬৭, ফাতহুল বারী ১০/৩৫০, ফাইযুল কাদীর ৫/২৪৬, মিরকাতুল মাফাতীহ ১৩/১৭৬)
উক্ত সানাদে উমার ইবনু হারুন পরিqত্যক্ত রাবী।
১। ইয়াহ্ইয়া ইবনু মাঈন (রহঃ) বলেন, সে মিথ্যুক।
(আসানিল মাতালিব ১/২০৯)
২। ইমাম নবাবী (রহঃ) বলেন, তার সূত্র দূর্বল যার দ্বারা দলীল নেওয়া বা গ্রহণ করা যাবে না।
(আল মাজমু ১/৩৫৮)
৩। ইবনু হাজার আস্কালানী (রহঃ) বলেন, উমার বিন হারূন আল বালখী পরিত্যক্ত।
(তাকরীবুল তাহযীব ৭২৮ পৃঃ, রাবী নং ৫০১৪)
৪। ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন, এই হাদীস গ্রহণযোগ্য নয়।
(নাইলুল আওতার ১/১৪৩)
৫। শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) বলেন, হাদীসটি মাওযু।
(যঈফাহ্ হা/২৮৮)
৬। শায়খ সলেহ বিন উসাইমীন (রহঃ) বলেন, উক্ত হাদীস সহীহ্ হাদীসের পরিপন্থী।
(ফাতাওয়া ইবনু উসাইমীন ১১/১২৬)
৭। আব্দুল্লাহ্ বিন গাদাইয়ান (রহঃ) বলেন, উক্ত হাদীস রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম) থেকে প্রমাণিত নয় এবং এটা সহীহ্ হাদীসের পরিপন্থী।
(ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ্ ৫/১৩৭, ফাতাওয়া ইবনে বাজ ৩/৩৭৩)
(কানযুল উম্মাল হা/১৭২২১ তুহফাতুল আহওয়াযী ৮/৪৬, যঈফাহ হা/২৮৮,আল উকাইলী ফিয যুআফা ২৮৮ পৃঃ, ইবনু আদী হা/২৪৩, যঈফুল জামে হা/৪৫১৭, গায়াতুল মারাম হা/১১৯, মিশকাত হা/৪৪৩৯, শারহুলস সুন্নাহ্ ১২/১০৮, উমদাতুল কারী ৩২/৬৭, ফাতহুল বারী ১০/৩৫০, ফাইযুল কাদীর ৫/২৪৬, মিরকাতুল মাফাতীহ ১৩/১৭৬)
উক্ত সানাদে উমার ইবনু হারুন পরিqত্যক্ত রাবী।
১। ইয়াহ্ইয়া ইবনু মাঈন (রহঃ) বলেন, সে মিথ্যুক।
(আসানিল মাতালিব ১/২০৯)
২। ইমাম নবাবী (রহঃ) বলেন, তার সূত্র দূর্বল যার দ্বারা দলীল নেওয়া বা গ্রহণ করা যাবে না।
(আল মাজমু ১/৩৫৮)
৩। ইবনু হাজার আস্কালানী (রহঃ) বলেন, উমার বিন হারূন আল বালখী পরিত্যক্ত।
(তাকরীবুল তাহযীব ৭২৮ পৃঃ, রাবী নং ৫০১৪)
৪। ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন, এই হাদীস গ্রহণযোগ্য নয়।
(নাইলুল আওতার ১/১৪৩)
৫। শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) বলেন, হাদীসটি মাওযু।
(যঈফাহ্ হা/২৮৮)
৬। শায়খ সলেহ বিন উসাইমীন (রহঃ) বলেন, উক্ত হাদীস সহীহ্ হাদীসের পরিপন্থী।
(ফাতাওয়া ইবনু উসাইমীন ১১/১২৬)
৭। আব্দুল্লাহ্ বিন গাদাইয়ান (রহঃ) বলেন, উক্ত হাদীস রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম) থেকে প্রমাণিত নয় এবং এটা সহীহ্ হাদীসের পরিপন্থী।
(ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ্ ৫/১৩৭, ফাতাওয়া ইবনে বাজ ৩/৩৭৩)